ব্যাংক পরীক্ষার প্রস্তুতির পরিপূর্ণ গাইডলাইন
ব্যাংক পরীক্ষার প্রস্তুতির পরিপূর্ণ গাইডলাইন
ছোটবেলায় যখন কেউ জিজ্ঞেস করতো বড় হয়ে কি হতে চাও? তখন আমরা বেশিরভাগ বলতাম হয় ডাক্তার না হয় ইঞ্জিনিয়ার। বেশিরভাগ বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের মতিষ্কে এই জিনিসটা ফিক্সড করে দিত বড় হয়ে তোমাকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে।
কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে। এখন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংকার ও হতে চায়। অনেকে ব্যাংকার হতে চাওয়ার স্বপ্নটাকে লালন করে রাখে। কিন্তু ব্যাংকার হওয়ার প্রক্রিয়াটা অতটা সহজ নয়। আবার খুব বেশি কঠিন ও নয় বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় পাঁচটি ধাপ অতিক্রম করে ব্যাংকার হতে হয়।
অনেকে ব্যাংকার হতে চায়, মনে মনে ভাবতে থাকে ব্যাংকার হলে কত সুন্দর লাইফ স্টাইল, হ্যান্ডসাম স্যালারি, লোন নিতে পারব, সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটি কিন্তু তার কাছে জিজ্ঞেস করুন ব্যাংকে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া কয়টি সে জানে না। আমার তো মনে অনেকে ব্যাংক ভর্তি হওয়ার জন্য যে একটা সিলেবাস অনুসরন করে প্রিপারেশন নিতে হয় সেটাও জানে না।
না জানাটা দোষের কিছু নয় কিন্তু জানতে না চাওয়াটা দোষের কিছু। যে কোন ভাল কিছু পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। আসল কথায় আসা যাক। আমার এই আর্টিকেলটি লেখার উদ্দেশ্য আপনারদের কে বাংলাদেশের ব্যাংকার হওয়ার সকল প্রসিডিওর জানানো। একসাথে সিরিয়ালি পার্ট টু পার্ট এই ওয়েবসাইটে ব্যাংকার হওয়ার সকল প্রসিডিওর জানাবো
আজকের পর্বের প্রথমে থাকবে বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাংকার হতে গেলে প্রথমত কয়টা ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সে বিষয়ে আলোকপাত। বাংলাদেশে একজন ব্যাংকার হতে গেলে সর্বমোট পাঁচটি পরীক্ষা অতিক্রম করতে হয়। এখন সেইটা যেকোন পোস্টে হতে পারে তবে কয়েকটা পোস্টে হয়তো একটা দুইটা ধাপ কম হতে পারে। কিন্তু ওভরঅল আপনি পাঁচটি ধাপের জন্য প্রস্তুতি নিলে সেটি আপনার জন্য ভালো।
প্রথমে একটা জিনিস ক্লিয়ার করে নেই অনেকে মনে করেন বিসিএস বা অন্য সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিলে ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে যায়। ধারনাটি আংশিক সত্যি। কারন ব্যাংকের পরীক্ষাগুলো ইংরেজিতে হয়ে থাকে।
এখন আপনাদের জানাবো ব্যাংকার হতে গেলে যে পাঁচটি ধাপ অতিক্রম করতে হয় সেগুলো কি কি?
১/ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা – এখানে সাধারনত ১০০ মার্কসের এমসিকিউ পরীক্ষা হয় যেখানে সময় থাকে ১ ঘন্টা
২/ প্রাথমিক সাক্ষাৎকার – প্রিলিমিনারি পাশ করার পর একটি সাধারন সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
৩/ লিখিত পরীক্ষা – তৃতীয় ধাপ হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা। ২০০ মার্কসের লিখিত পরীক্ষা হয়।
৪/ কম্পিউটার দক্ষতা – ব্যাংকার হওয়ায় চতুর্থ ধাপ হচ্ছে কম্পিউটার দক্ষতা পরিমাপ।
৫/ চূড়ান্ত ভাইভা – সর্বশেষ ধাপটি হচ্ছে চূড়ান্ত ভাইভা।
সর্বমোট পাঁচটি ধাপ অতিক্রম করে আপনাকে আপনার স্বপ্ন পূরন করতে হবে তবে ভয়ের কোন কারন নেই। প্রতিটি পর্বে আপনাকে ধাপগুলো অতিক্রম করার টিপস দেওয়া হবে। ব্যাংক পরীক্ষার প্রস্তুতির পরিপূর্ণ গাইডলাইন এর পরবর্তী পর্বে থাকবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস ও কীভাবে প্রিলিমিনারি অতিক্রম সেই বিষয়ে আলোকপাত।
আরও পড়ুন- ব্যাংক জব ভাইভার সাধারন কিছু ভুল
আরও পড়ুন- ব্যাংক পরীক্ষার প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির গাইডলাইন
আরও পড়ুন – ব্যাংক জব প্রস্তুতি প্রাথমিক সাক্ষাৎকার